ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প

বাংলার আলো ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অবশ্য এর জেরে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি ও সুনামির শঙ্কাও সৃষ্টি হয়নি। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৮১ কিলোমিটার (৫০ মাইল)। রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থাও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। এটির জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটিরও বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে।

২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখা যায়। রিং অব ফায়ার হলো পৃথিবীর এমন একটি অংশ, যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। এই একই কারণে জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *