কুদরত আলী, রুহিয়া প্রতিনিধি: বর্তমান মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তিনটি সেচ প্রকল্প থেকে সেচ দিয়ে আমন আবাদের লক্ষমাত্রা বেড়েছে। এতে করে দেশের উত্তর জনপদ ঠাকুরগাঁও জেলার উচু জমিগুলো আমন আবাদের প্রসার হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়ন, আচকা ইউনিয়ন, বড়গাঁও ইউনিয়ন, সেনুয়া ইউনিয়ন ঢোলারহাট ইউনিয়ন এবং চিলারং ইউনিয়নের উঁচু জমিতে এবার প্রচুর আমন আবাদের দেখা যায়। যে এলাকায় আগে আমন আবাদের প্রসার খুব কমেছিল কিন্তু চলতি আমন মৌসুমে জেলার টাংগন সেচ প্রকল্প, বুড়ী বাঁধ সেচ প্রকল্প ও ভূল্লী বাঁধ সেচ প্রকল্পের পূর্ণসংস্কারের কারণে গত মৌসুমের চেয়ে প্রচুর পরিমাণে আমন ধানের চাষ করেছেন ওই এলাকার কৃষক। টাংগন সেচ প্রকল্পের সুবিধাভোগী বড়দেশ্বরী এলাকার কৃষক মাসুদ রানা, উমের আলী, নুর বক্ত আলী, হবিবর রহমান হবি,রহিম বাদসাসহ অনেকে বলেন আগে এই অঞ্চলের উঁচু জমিতে আমন চাষ করা মুসকিল হয়ে যেত, যদিও আমরা আমন আবাদ করতাম তাহলে সেচ দেওয়ার জন্য জ্বালানি খরচ করতে হতো। তারা বলেন বিশেষ করে চলতি আমন মৌসুমে আমরা টাংগন সেচ প্রকল্পের নিরবিচ্ছিন্ন পানি দিয়ে আমন চাষ করতে পেরেছি আশা করছি এবছর বাম্পার আমন ধান ফলাতে পারবো।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ্র বলেন, আমি মাঠ পর্যায় কাজ করছি এবং দেখতে পাচ্ছি হাজার কৃষক সেচ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এতে করে আমন আবাদের জন্য কৃষকের অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করতে হয়না আবার ধানের ফলনও বাম্পার পাওয়ার আশা করছেন।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় তিনটি সেচ প্রকল্প রয়েছে টাংগন সেচ প্রকল্প, বুড়ী বাঁধ সেচ প্রকল্প এবং ভুল্লী সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যানেল দিয়ে সদর উপজেলার উঁচু জমিতে আমন মৌসুমে সেচ দেওয়া হয় যাতে করে এই সব এলাকার কৃষকগুলো ডিজেল চালিত ইঞ্জিন বা অন্য কোন উপায় যেমন অর্থ দিয়ে সেচ না করতে হয় এ জন্য আমরা বিনামূল্যে সেচ প্রকল্প দুটি দিয়ে পানি সরবরাহ করে থাকি এবং আপনি অবশ্যই অবগত আছেন ইতিমধ্যে আমাদের সেচ প্রকল্প তিনটির পূনসংস্করনের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি সেচ প্রকল্প তিনটি সংস্করণের কাজ সমাপ্তি হলে স্থানীয় কৃষকগণ আরও উপকৃত হবে।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, মোঃ রফিউল বারী জানান, জেলার সদর উপজেলার ৩টি সেচ প্রকল্পে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে যেখানে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ১০২ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, সেbচ প্রকল্পের সেচের জন্য ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার জ্বালানি সাশ্রয় পাচ্ছেন কৃষক।