ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, আপনারা কি দেশের জন্য কাজ করছেন? নাকি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য অপেক্ষা করছেন?
তিনি বলেন, আপনারা প্রায় ৯ মাস ক্ষমতায় আছেন। মনে হচ্ছে, ক্ষমতা ভোগ করছেন। জনগণের সমস্যা নিরসনে উল্লেখযোগ্য দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। বর্তমানে ফ্রিস্টাইলে দেশ চলছে। ফলে দাবি-দাওয়ার শেষ নেই। বিনা কারণে যখন তখন মিছিল হচ্ছে, রাস্তা অবরোধ এবং সর্বত্র বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি চরমে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর নেতৃত্বে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা-আমলাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পাঁচ শতাধিক মানুষ এলডিপিতে যোগ দেন।
অলি আহমদ বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমাদের ভারতের দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া উচিত হবে না বা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়াও সঠিক হবে না। আমি এখানে সাবধান ও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দেশ রক্তপাতের দিকে এগোচ্ছে। হয়ত আপনাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না। সুতরাং সময় থাকতেই সঠিক পদক্ষেপ নেন। জনগণকে শান্তিতে, স্বস্তিতে বসবাস করতে দিন। চাকরি হয়তো দিতে পারলেন না, কিন্তু শান্তির প্রয়োজন। শুধু মিষ্টি কথায় ভাষণ দিয়ে দেশ চালানো যাবে না, জনগণের সমস্যার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজের কী অবস্থা তা আপনাদের জানা উচিত। অনেকে অবৈধ টাকার কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছে। বিভিন্ন তদবিরের জন্য সারাদিন সচিবালয়ে সময় কাটাচ্ছে। রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে। নিজেদের জন্য আলিশান অফিস ভাড়া নিচ্ছে। এই অবস্থায় জনগণ চুপ থাকলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে।
এলডিপির সভাপতি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা ঝটিকা মিছিল করে দেশকে অস্থিতিশীল করছে। বিভিন্ন জায়গায় হত্যা ও ডাকাতি করছে। সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু জনগণ মনে করে, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সরকারের ইন্ধন রয়েছে। কারণ তারা জনগণের কাছে তাদের ক্ষমতায় থাকার গুরুত্ব অপরিহার্য বলে প্রমাণ করতে চায়। বস্তুত বর্তমানে ফ্রিস্টাইলে দেশ চলছে। ফলে দাবি-দাওয়ার শেষ নেই। বিনা কারণে যখন তখন মিছিল হচ্ছে, রাস্তা অবরোধ এবং সর্বত্র বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি চরমে। এগুলো বন্ধ করার কোনো লক্ষণ সরকারের পক্ষ থেকে নেই।