সোহেল তানভীর, ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,“আমরা হিংসার রাজনীতি চাই না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সকল ধর্ম ও পেশার মানুষ মিলে শান্তিতে বাস করাটাই হচ্ছে বাংলাদেশ। ভাগাভাগি নয়, বিভাজন নয়—দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার গঠন করতে দিন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে সুধী সমাজ, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ৭১-এর স্বাধীনতা ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, স্বাধীনতার মাধ্যমেই আমরা এই দেশকে পেয়েছি। ঠিক একইভাবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানও আমরা ভুলব না। কারণ, সে সময় জনগণের রক্তের বিনিময়েই স্বেচ্ছাচারী সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা আর তা দেখতে চাই না। সবাই মিলে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। জনগণের ইচ্ছামতো ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’—এই অধিকারই জনগণের গণতন্ত্রের ভিত্তি।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম কাজ হবে বেকারত্ব দূরীকরণ। আমরা ১ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেব। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।
মহাসচিব বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই এখনো সঠিকভাবে জানে না। এ সম্পর্কে আমি ভালো বুঝিনা তো জনগণেরা কি বুঝবে? অথচ অনেকে এ পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন চলছে—এসবের উদ্দেশ্য আসলে ভালো না। নির্বাচনকে পন্ড করে বিভাজন সৃষ্টি না করে দয়া করে নির্বাচনটি হতে দেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিভাজন সৃষ্টি না করে দেশকে রক্ষা করুন। বিভিন্ন দাবিদাওয়ায় নয়, সবাই মিলে এক হয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলুন। আমরা ভাগাভাগি নয়—একতা চাই, শান্তি চাই।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজওয়ানুল রেদো শাহ্। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফসহ দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
