গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে “নিয়োগে অন্ধকার, প্রশ্নে শিক্ষা প্রশাসনের স্বচ্ছতা” শিরোনামে স্যাটেলাইট টেলিভিশন গাজী টিভি (জিটিভি)-তে, “ঘুষের বিনিময়ে দিনের পরীক্ষা রাতে নেওয়ার অভিযোগ” শিরোনামে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায়, এবং “ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুষের বিনিময়ে দিনের পরীক্ষা রাতে” শিরোনামে সারা বাংলা নামে অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সম্পর্কে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আমি সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, আমি অতীতে কিংবা বর্তমানে এ ধরনের কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না এবং নেই।সংবাদগুলোতে বলা হয়েছে, আমার যোগসাজশে ভেলাতৈড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা রাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাল সনদে প্রধান শিক্ষক হওয়া, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উত্থাপন করে সংবাদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি করে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে আমি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছি এবং চাকরি দেওয়ার নামে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে হয়রানি করেছি — যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।প্রকৃতপক্ষে, আমি বৈধ সনদ ও যথাযথ যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। বিদ্যালয়ের অর্থ কোনোভাবেই আমি আত্মসাৎ করিনি। বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমি কোনো প্রকার অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নিয়ম-নীতি মেনেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে আমি কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের অর্থ গ্রহণ করিনি।কিছু কুচক্রী মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এই সংবাদ প্রচার করেছে, যা আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের জন্য সম্মানহানিকর এবং হয়রানিমূলক। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর এ সংবাদের মাধ্যমে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি — ভবিষ্যতে এমন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য।
প্রতিবাদকারী-
মোঃ আব্দুল ওদুদ
প্রধান শিক্ষক
ভেলাতৈড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।
