বাংলার আলো ডেস্ক: অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছিল সাকিবের ঢাকায় শেষ টেস্ট খেলার পথ ক্রমেই সুগম হয়েছে। যতদূর শোনা যাচ্ছে, সাকিব আল হাসান হয়তো বৃহস্পতিবার কোনো এক সময় দেশেও ফিরে আসবেন এবং টিম হোটেলে চেক ইন করবেন।
সাকিব যে দেশে ফিরছেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঢাকা টেস্ট খেলবেন, তা নিশ্চিত হয়েই নির্বাচকরা তাকে প্রথম টেস্টের দলে রেখেছেন। অন্যতম নির্বাচক হান্নান সরকার আজ পড়ন্ত বিকেলে সে তথ্যই দিয়েছেন।
হান্নান সরকার জানান, বোর্ডের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই নির্বাচকরা সাকিবকে দলে রাখেন। পাশাপাশি সাকিবের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গা থেকেও ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার চেষ্টার কথাও বেশ জোর দিয়ে বলেছেন হান্নান।
তার ব্যাখ্যা, ‘আমরা সবাই ইতোমধ্যে জানি সাকিব ইচ্ছে পোষণ করেছিল মিরপুর টেস্টে টেস্ট থেকে রিটায়ার করবে। আমরা জানি, এটা একটা সরকারি ইস্যু ছিল, আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের ইস্যু ছিল। আমরা নির্বাচকরা স্বাভাবিকভাবে টিম করার আগে সব জায়গা থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষত ক্রিকেট বোর্ড থেকে যখন ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয় এই খেলোয়াড় এভেইলেবল বা যে কোনো খেলোয়াড় এভেইলেবল তখনই সিলেকশনের কাজ করি। ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা যখন গ্রিন সিগন্যাল পেলাম, সাকিব ইজ এভেইলেবল ফর সিলেকশন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সাকিবকে সিলেক্ট করেছি।’
সাকিবের মতো একজন কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট থেকেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারছেন, তা নিশ্চিত হতে পেরে হান্নান সরকার বেশ খুশি এবং সন্তুষ্ট।
তার অনুভব সাকিবের মতো অত বড় প্লেয়ার নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে, সেটা শুধু তার নিজের ইচ্ছে পূরণ নয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্যও হবে এক বড় পাওয়া।
‘এটা একটা আনন্দের বিষয় যে এ ধরনের একটা লিজেন্ড ক্রিকেটার, মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট সেখান থেকে বিদায় নিতে পারছে; এটা প্লেয়ার হিসেবে তার জন্য যেমন পাওয়া, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের সবার জন্য পাওয়া। আশা করছি, এই ম্যাচটা হয়তো আমাদের একটা স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে। যে ম্যাচ দিয়ে সাকিব ভালো কিছু পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভালো অবদান রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।’
সাকিবের জন্য তো অবশ্যই শুভকামনা থাকবে এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা একটা বড় প্রাপ্তি হতে যাচ্ছে এ ধরনের বড় খেলোয়াড় মাঠ থেকে অবসর নিতে যাচ্ছে।