মার্চ ফর গাজা : লোকে লোকারণ্য ঢাবি ক্যাম্পাস

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। বিকেল ৩টায় এই গণজমায়েত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। 

সকাল থেকেই ছোট-বড় অসংখ্য মিছিল শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, মেডিকেল মোড়, বা নীলক্ষেত মোড় দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে। প্রায় প্রত্যেকের হাতে রয়েছে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা। অধিকাংশ মানুষ কপালে ফিলিস্তিন বা কালিমার পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন। সবার লক্ষ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে। একটু পরপর মানুষ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করছেন। 

রাজু ভাস্কর্য এলাকা সকাল ১০টা থেকেই জনসাধারণের পদচারণা ও স্লোগানে মুখরিত রয়েছে। জনসাধারণ রাজু ভাস্কর্য ম্যুরালের ওপরে উঠে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা ওড়াচ্ছেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। 

মূল অনুষ্ঠান বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত। বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জমায়েত “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ময়মনসিংহ থেকে আগত কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী যে বর্বরোচিত হামলা করেছে তা নজিরবিহীন। নিয়মিত নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব মানবতা আজ নিশ্চুপ। বিশ্ব মোড়ল এবং মুসলিম বিশ্ব এ বিষয়ে কিছুই বলছে না। উল্টো আমেরিকা এই হামলায় সরাসরি মদদ দিচ্ছে। আমরা হয়তো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে পারছি না কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতার ঢল নামবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা বিশ্বেই। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে  বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে “মার্চ ফর গাজা।”