বাংলার আলো ডেস্ক: লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ধরা খেলেন বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। সরকারের পতনের পর রাস্তায় ও থানায় ছিল না পুলিশ। তারা নিরাপত্তা ও বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি দিয়েছিল। এ সময় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থীরা। গাড়ির লাইসেন্স ও গাড়ির ভেতরে তল্লাশি করেন তারা। তল্লাশিকালে অনেক গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে যমুনা ব্যাংকের এমডি মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমদও একজন। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা যমুনা ব্যাংকের এমডি মির্জা ইলিয়াছের গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান। এ সময় এমডি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তখন শিক্ষার্থীরা বলেন— আপনার যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে আমরা কীভাবে শিখব। এ সময় এমডি শিক্ষার্থীদের বলেন— আমি একজন এমডি। যমুনা ব্যাংকের এমডি। সব আছে আমার কাছে। তবে শেষ পর্যন্তও তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যমুনা ব্যাংকের এমডি মির্জা ইলিয়াছকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। এ সময় গাড়িতে থাকা একজন নারীকে শিক্ষার্থীদের পানি দিতে দেখা যায়। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর এমডি হিসেবে মির্জা ইলিয়াছের প্রথম দফার নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়।
দ্বিতীয় দফায় নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল তার নাম সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চাওয়া হয়। পরে তাকে পাঁচ বছরের জন্য এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।