ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) জাহেদুর রহমান বাবুর একটি চারতলা ভবনসহ দুইটি টিন শেড বাড়ি ও কোটি টাকার জমির সন্ধান মিলেছে “দৈনিক বাংলার আলো” এর অনুসন্ধানে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাড়ি থেকে লাপাত্তাও তার পরিবার।
এই ব্যক্তিগত সহকারীর বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বড়দাপ এলাকায়। তার বাবা ফয়জুল হক, পঞ্চগড় সুগার মিলের সিজনাল গার্ডের চাকুরি করতেন। জাহেদুর রহমানসহ তারা দুই ভাই তিন বোন। ছোট ভাই দিনাজপুরে লেখাপড়া করছে।
সূত্র বলছে, ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই ছিল না জাহেদুরের বাবার। প্রথমে ঠাকুরগাঁও এলাকার জনৈক ডাক্তারের সহকারি ছিলেন জাহেদুর রহমান। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারীর চাকুরি হয়। তারপর থেকে আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন তিনি। চাকুরিতে যোগদানের পরপরই চেরাগ ঘষামাজা করে কোটিপতি বনে গেছেন। যে এলাকায় এই সম্পত্তি গড়েছেন সেটি ঠাকুরগাঁও জেলার পৌর শহরের মক্কামোড় এলাকায় ৫ শতক জমির উপর ৫ তলা ভিত্তির চারতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করে গাঁথুনির জন্য ইট আনা হয়েছে। স্থানীয় বাবু নামের এক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, ওই এলাকায় জমিসহ ফ্লাটের বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি। আটোয়ারী উপজেলার বড়দাপ এলাকার তেল পাম্প সংলগ্ন সড়কের পাশে ৪ শতক জমির উপর মার্কেট, পাশেই ৭ শতক আর ১১ শতক জমির উপর টিনশেডের দুইটি বাড়ি রয়েছে। একটি মাইক্রোবাস ছিল সেটি বিক্রি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বাড়ি মার্কেটসহ যার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া কোটি টাকা। এদিকে ছোটদাপ এলাকার আটোয়ারী-পঞ্চগড় সড়কের পাশে প্রাচীরে ঘেরা ৫ শতক জমি যার বর্তমান মূল্য ৩০ লাখের উর্ধে।
কাজিমউদ্দিন বলেন, সড়কের পাশে জমি এজন্যই প্রচুর দাম। ফয়জুল হকের ছেলের কাছে বিক্রি করেছি ৫ শতক। কিন্তু কার নামে রেজিস্ট্রি নিয়েছে বলতে পারেননা তিনি। নামে বেনামে আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে জানায় স্থানীয়রা।
তারা বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হওয়ায় তার স্ত্রীসহ দুই বোনকে আইন ও বিচার বিভাগে চাকুরি পাইয়ে দেয়। নিজেও চাকুরি নেয় সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আইন ও বিচার বিভাগে। এতদিন ডেপুটেশনে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আইন ও বিচার বিভাগে তার নিয়োগ নেওয়া পদে যোগদান করেন।
অবৈধ এ বিপুল সম্পদের বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহেদুল রহমানের মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।