ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক স্থান থেকে ২ নারীর মরদেহ উদ্ধার, আটক স্বামী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আনু বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ ও সালেহা খাতুন (৬৮) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আনু বেগমের স্বামী একরামুলকে আটক করে পুলিশ। পরিবারের দাবি স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে আনু বেগমকে।

বুধার (৯ এপ্রিল) সকালে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নে খেরবাড়ী গ্রামে এক বাদামখেত থেকে আনু বেগমের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আনুর মরদেহ উদ্ধার করে।

আনু বেগম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামের মৃত বসির উদ্দীনের মেয়ে। অন্যদিকে বৃদ্ধা সালেহা খাতুন উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের কাচারিপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা লেদু বকসের স্ত্রী।

এ সময় গৃহবধূর পরিবারের লোকজন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তুললে পুলিশ আনু বেগমের স্বামী একরামুল হককে আটক করে। আটক একরামুল খেরবাড়ী গ্রামের ইয়াজদ্দিনের ছেলে।

আনুর ভাই রেসেবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘২৫ বছর তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু শান্তিতে সংসার করতে পারেনি। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। গতকাল মঙ্গলবার রাতভর নির্যাতন করে হত্যার পর বাড়ি থেকে অদূরে ফেলে এসেছে বোনের মরদেহ। এটা পরিকল্পিত হত্যাকা-। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

অন্যদিকে কাচাহারিপাড়া এলাকায় শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস দেওয়া সালেহা খাতুনের মরদেহ দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশে খবর দেন। বৃদ্ধার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা লেদু বকস ও পরিবারের স্বজনেরা দাবি করেন, সালেহা খাতুনের মানসিক সমস্যা রয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।