ক্লান্তিকালেও মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি জমজমাট

মোঃ মুনছুর আলী, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার, বালিয়াডাংগী উপজেলার ৫নং দুওসুও ইউনিয়নের, মাধবপুর গ্রামের ৩১নং মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি বালিয়াডাংগী উপজেলার সীমান্তবর্তী ও প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের হওয়ায় তেমন উন্নয়ন হয়নি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা স্কুলটিতে বর্তমানে অধয়ণরত মোট শিক্ষার্থী ছেলে মেয়ে ১৯৪ জন, উপস্থিতির হার গড়ে প্রায় ৮৪/৮৫ %শতাংশ এবং অনুপস্থিতি গড়ে প্রায় ১৫/১৬% শতাংশ ।শিশু শিক্ষার্থীদের ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী বাদে সকল শিক্ষাথীরা বাংলা ও ইংরেজি সাবলীল ভাবে উচ্চারণ করে পড়তে পারে।

সহকারী শিক্ষক মোঃশহিদুর রহমান ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রায় প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষা নেন এবং ১ম ২য় ৩য় হওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা কলম ইত্যাদি উপহার হিসেবে দেন এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ও পড়া এবং নিয়মিত হওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন আমার ছেলে এখানে পড়ে সে যদি স্কুলে না আসে হেড স্যার ফোন দেয়,কেন ছেলেটা স্কুলে আসেনাই, জানতে পারি সমস্যা না হলে স্কুলে পাঠায় দি,আমার ছেলে ক্লাস থ্রি তে পড়ে সে বাংলা ইংলিশ রিডিং পড়তে পারে, আমি ছেলেকে নিয়মিত স্কুলে পাঠায়।অভিভাবক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন আমার মেয়ে ক্লাস ফোরে পড়ে বাংলা ইংরেজি পড়তে পারে স্কুলের শিক্ষকরা খুব আন্তরিক,কিন্তুু স্কুলের খেলার মাঠ নাই যেখান সামনে আছে ঐখানে পানি লাগে থাকছে স্কুলের পিছন খান অনেক খাল

সরেজমিনে প্রত্যক্ষ ভাবে আরো দেখা যায় যে,মাঝারুল ইসলাম সুজন, সাবেক এম পি, ঠিকাদারিতে
২০২২/২০২৩ অর্থ বছরে একটি নতুন চার(৪)তলা ফাউন্ডেশনের বিল্ডিংটি একতলা কমপ্লিট বুঝে দেন, কিন্তু ক্ষমতার বলে এহেন দায় সারা কাজের জন্য একবছর যেতে না যেতেই ভবনটির মেঝে, বারান্দা ও বিভিন্ন যায়গা ফাটল ধরেছে ও ইলেক্ট্রনিক, কারেন্টতার, সুইচ, অকেজো হয়ে পরে,এতে শিশু শিক্ষার্থীরা যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে উচ্চারণ করে পড়তে পারে না তাদের জন্য আলাদা একটা ক্লাসের ব্যাবস্থা করেছি, এবং প্রতেক শিক্ষক কে বলেছি ক্লাসে যেন তারা তাদের কে একটু বেশি সময় দেন। এবং যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনা তাদের বাসায় ফোন দিয়ে খোঁজ করি কেন আসেনাই।

আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে। তবে আমাদের অত্র বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে, আমাদের পুরাতন ভবনটি মাঠের মধ্যে হয়ে গেছে যার জন্য ভবনের সামনে অল্প যায়গা হওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা অনেক সমস্যা হচ্ছে এবং প্রাচীর নিচে মাটি ভরাট করতে হবে এই পুরাতন ভবনটি সরিয়ে এক পাশে করে দিলে স্কুলের মাঠ বড় হবে, যা স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন করছি পুরাতন ভবনটি সরিয়ে মাঠে মাটি ভরাট করে শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠটি খেলার উপযোগী করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *