ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভূপাল চন্দ্র রায় ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট পেশকার (বড়বাবু) মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ সহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
একই ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত সমীর উদ্দিনের ছেলে হাসিবুর রহমান এসব অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি), ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, দুদক সহ নানা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার কথা বলে ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা ভূপাল চন্দ্র রায় ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট পেশকার (বড় বাবু) ভুক্তভোগী হাসিবুর রহমানের কাছে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ অনুযায়ী একক কোন ব্যক্তিকে সরকারি কোনো জলমহাল ইজারা দেওয়ার সুযোগ না থাকায় কর্তৃপক্ষ পুকুরটি তার নামে ইজারা দিতে পারেনি এবং ঘুষের টাকাও ফেরত দেয়নি সেই দুই কর্মকর্তা। পরবর্তীতে হাসিবুর রহমান ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করেন তারা।
এ বিষয়ে একদিকে পুকুর ইজারা না পেয়ে অন্যদিকে ঘুষের টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে হাসিবুর রহমান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যালয়ে সেই দুই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী হাসিবুর রহমান।