ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল, ক্ষমতার অপব্যবহার, পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক জয়পুরহাট আক্কেলপুর এলাকার মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে বাড়িও করেছেন তিনি। গত ১৪ অক্টোবর এলাকাবাসী তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর নুর আলম, আব্দুল গনিসহ ৩০ জন স্বাক্ষরিত একটি গণঅভিযোগ দায়ের করে, তাদের জীবনের নিরাপত্তাসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কর্নেল (অব:) ওমর ফারুক দুর্নীতিবাজ, ভূমি জবর দখলকারী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী। সেনাবাহিনীতে চাকুরীতে থাকাকালীন তেঁতুলিয়ার আজিজনগর এলাকায় ভূমি দালালদের মাধ্যমে নাম মাত্র মূল্যে কিছু ভেজাল জমি ক্রয় করে। জমির দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হলে ২০০৭ সালে সামরিক শাসন চলাকালে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে, আমাদের অনেকের মাথায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ী ঘর, দোকানপাট ভেঙ্গে দিয়ে আমাদেরকে উচ্ছেদ করে, জমি দখল করে নেয়। এ কাজে প্রতিবাদ করায় আফছার আলী নামক এক ব্যাক্তিকে পঞ্চগড় জেলা আদালত প্রাঙ্গন হতে তিনি সেনা ক্যাম্পে তুলে নিয়ে মারপিট করায় তাহার অকাল মৃত্যু হয়।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসন আমলে সরকার দলীয় মন্ত্রী, নেতা-কর্মী, বিভিন্ন বাহিনীর অফিসার ও সরকারী আমলাদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোন মামলা করতে সাহস পায়নি।
উল্টো আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয় হয়রানী করে।ওমর ফারুক তার ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, শারিরীক নির্যাতন করা সহ তার দলভুক্ত লোকজনদের দিয়ে জমি দখল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসকের পতনের দিনেও প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে জমি দখল করে নেয়।আমরা প্রতিবাদ করায় তিনি পূর্বের মতো বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়া মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জমি দখল ও আমাদেরকে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে মারধর করার প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে।
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, আজিজনগর গিয়ে বাবুল ও হানিফের সাথে কথা বললে সব পাবেন। নুরে আলম বাবু আমার কাছে জমি বিক্রি করে চিট করেছে। আমার জমি দখল করতে এসে পারেনি, তারপরও ডিস্টাব করতেছে। আমি সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছি।