ক্লান্তি কালেও মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি জমজমাট

মোঃ মুনছুর আলী: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের, মাধবপুর গ্রামে, ১৯৯৯ সালে স্থাপিত ৩১নং মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সিমান্তবর্তী ও প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের হওয়ায় তেমন উন্নয়ন হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা স্কুলটিতে বর্তমানে অধায়নরত মোট শিক্ষাথী ছেলে মেয়ে ১৯৪ জন, উপস্থিতি হার গড়ে প্রায় ৮৪/৮৫ %পার্সেন্ট এবং অনুপস্থিতি গড়ে প্রায় ১৫/১৬% পার্সেন্ট। শিশু শিক্ষাথীদের ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন শিক্ষাথী বাদে সকল শিক্ষাথীরা বাংলা ও ইংরেজি সাবলীল ভাবে উচ্চারণ করে পড়তে পারে।

সহকারী শিক্ষক মোঃশহিদুর রহমান ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রায় প্রতিযোগিতা মুলক পরিক্ষা নেন এবং ১ম ২য় ৩য় হওয়া শিক্ষাথীদের খাতা কলম উপহার হিসেবে দেন এতে করে শিক্ষাথীদের ক্লাস ও পড়া এবং নিয়মিত হওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন আমার ছেলে এখানে পড়ে সে যদি স্কুলে না আসে হেড স্যার ফোন দেয়,কেন ছেলেটা স্কুলে আসেনাই, পরে আমরা সমস্যা না হলে স্কুলে পাঠায় দি,আমার ছেলে ক্লাস থ্রি তে পড়ে সে বাংলা ইংলিশ রিডিং পড়তে পারে, আমি ছেলেকে নিয়মিত স্কুলে পাঠায়।অভিভাবক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন আমার মেয়ে ক্লাস ফোরে পড়ে বাংলা ইংরেজি পড়তে পারে স্কুলের শিক্ষকরা খুব আন্তরিক,কিন্তুু স্কুলের খেলার মাঠ নাই যেখান সামনে আছে ঐখানে পানি লাগে থাকছে স্কুলের পিছন খান অনেক খাল

সরেজমিনে প্রত্যক্ষ ভাবে আরো দেখা যায় যে,মাঝারুল ইসলাম সুজন, সাবেক এম পি, ঠিকাদারিতে
২০২২/২০২৩ অর্থ বছরে একটি নতুন চার(৪)তলা ফাউন্ডেশনের বিল্ডিংটি একতলা কমপ্লিট বুঝে দেন, কিন্তু ক্ষমতার বলে এহেন দায় সারা কাজের জন্য একবছর যেতে না যেতেই ভবনটির মেঝে, বারান্দা ও বিভিন্ন যায়গা ফাটে যায় ও ইলেক্ট্রনিক, কারেন্টতার, সুইচ, অকেজো হয়ে পরে,এতে শিশু শিক্ষাথীরা যে কোন সময় দুর্ঘটনার সমুক্ষিন হতে পারে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে সকল শিক্ষাথীরা বাংলা ও ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে উচ্চারণ করে পড়তে পারে না তাদের জন্য আলাদা একটা ক্লাসের ব্যাবস্থা করছি, এবং প্রতেক শিক্ষক কে বলেছি ক্লাসে যেন তারা তাদের কে একটু বেশি সময় দেন। এবং যে সকল শিক্ষাথী আসেনা তাদের বাসায় ফোন দিয়ে খোঁজ করি কেন আসেনাই। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি শিক্ষাথীদের সর্বোচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে।

তবে আমাদের অএ বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে, আমাদের পুরাতন ভবনটি মাঠের মধ্যে হয়ে গেছে যার জন্য ভবনের সামনে অল্প যায়গা হওয়ায় শিশু শিক্ষাথীদের খেলাধুলা অনেক সমস্যা হচ্ছে এবং প্রাচীর নিচে মাটি ভরাট করতে হবে এই পুরাতন ভবনটি সরিয়ে এক পাশে করে দিলে স্কুলের মাঠ বড় হবে যা স্কুলের শিক্ষাথীদের খেলাধুলার মধ্যে শারীরিক ও মানসিকতার বিকাশ ঘটবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন করছি পুরাতন ভবনটি সরিয়ে মাঠে মাটি ভরাট করে শিক্ষাথীদের খেলার মাঠটি উপযোগী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *