বাংলার আলো ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীরা কোনো কাজ করে না, ৫ আগস্টের পর সেই দিন চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
আজ (মঙ্গলবার) সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে আপনারা লিখেছেন। এই ২০ দিনে সেই ভাঙা জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। এটা একটা জটিল বিষয়, এটা আমি একা পারব না। আমার কাছে যে তথ্য আছে সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। এই পুরো ব্যবস্থাটি টেনে তুলতে সময় লাগবে। আমাদের সময় দিতে হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, অনেকের একটা নেগেটিভ ধারণা আছে যে আগে যারা ছিল তারাই তো রয়ে গেছে। সরকার এবং পার্টি, দয়া করে মেশাবেন না। যারা আছেন তাদের কাছ থেকে আমরা যদি রাজনৈতিক কারণে অসহযোগিতা পাই, তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আমি বলব আমার অসুবিধা হচ্ছে। শতভাগ লোক যদি আমাকে অসহযোগিতা করে, তবে আমি এখানে বসার জন্য ফিট না। সবাই রাজনীতি করে কিংবা রাজনীতি করতে বাধ্য হয়েছিল এটা ঠিক নয়। তাহলে এই ২০ দিন চলতো না।
সিনিয়র সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বন্যাকবলিত অনেক জায়গা পরিদর্শন করেছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।
বঞ্চিত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের বিষয়গুলো দেখার জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একজন যুগ্ম সচিবসহ তিনজনের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা পদোন্নতি, ভালো পোস্টিংসহ শত শত আবেদন দেখছেন।
আকমল হোসেন আজাদ বলেন, কোনো কার্যক্রম পুরোপুরি রাজনৈতিক না হয়ে থাকলে আমরা স্থগিত করছি না। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের ১০০ দিনের কর্ম-কৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমাদের ২০ দিন চলে গেছে।