ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: অবশেষে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিটনের চিকিৎসায় জায়গা হলো ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার নির্দেশে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই চলবে কলেজছাত্র লিটনেনের উন্নত চিকিৎসা।
গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে ‘লিটনের শরীরে ৫০০ গুলি, চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এতেই নজরে আসে জেলা প্রশাসনের।
লিটনের মা লিলি বেগম জানান, জেলা প্রশাসক লিটনকে তার কার্যালয়ে ডেকে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়। এরপর তিনি লিটনকে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন।
লিটন জানান, ডিসি স্যার আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাচ্ছে। এতে আমি খুব খুশি।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন,লিটন ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ আরও ৬জনকে চিকিৎসার জন্য একই অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন,লিটনের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকায় সিএমএইচ হাসপাতালে এ কথা বলেছি। ওখানকার চিকিৎসক লিটনকে ট্রমা সেন্টারে যেতে বলেছে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে দেখার পর জানাবে ওর কি চিকিৎসা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন লিটন। সেই গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় তাঁর পুরো শরীর। চিকিৎসকেরা বলছেন, লিটনের শরীরে এখনো গুলির প্রায় ৫০০ ক্ষত রয়ে গেছে।