ফুটবলার সাগরিকা’র পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ী

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও): বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ী। সাগরিকা’র পরিবারকে আর অন্যের জায়গায় থাকতে হবে না। সরকারিভাবে দেয়া হবে নতুন দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান।

তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সাগরিকার বাড়িতে যান এই কর্মকর্তা। এ সময় তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি ।

জানা গেছে, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের সাগরিকার পরিবারের জন্য নতুন বাড়ী নির্মাণের নীতিগত সিদ্বান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।

এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাড়ী নির্মাণের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ীর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এদিকে বাড়ী জায়গাসহ নতুন ঘর পাবার কথা শুনে খুশিতে কেদেঁ ফেলেছেন সাগিরকার পিতা চা বিক্রতা লিটন আলী। তিনি জানান,তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন গৃহ পাচ্ছেন।

এর আগে গত ১৫ ফ্রেরুয়ারি “সাফ ফুটবলের সাগরিকা থাকেন অন্যের জমিতে“ শিরোনামে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী ও সোহেল রানা বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারে সাগরিকার জন্ম। অন্যের জমিতে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। সাগরিকা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়। তার জন্য রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবেন।’

সাগরিকার বাবা লিটন আলী বলেন, উকিল নামের এক ব্যক্তির এ জমির কোনো দাবিদার না থাকায় তাঁরা সেখানে বাড়ি বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছেন না। তাই সেভাবে বাড়িও বানাতে পারছেন না।

সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম বলেন, সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছে । মেয়ে এলে কোথায় কীভাবে থাকতে দেবেন তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তিনি বলেন, মেয়ের বন্ধুরা বেড়াতে আসতে চান কিন্তু বসার এবং থাকার ব্যবস্থা না থাকায় তাদের আসতে বারণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *